অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে – কিভাবে করব

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করে তাদের নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ইমেইল নিউজলেটার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করে মানুষদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে কমিশন অর্জন করা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের, একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার (অ্যাফিলিয়েট) প্রস্তুত করা প্রোডাক্ট বা সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাদের প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করে বিক্রি করে। মানুষদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিজ্ঞাপন প্রদান করে। প্রতিষ্ঠান প্রতি প্রতি বিক্রিত পণ্যের মূল্যে নির্দিষ্ট মাত্রা বা নির্দিষ্ট শতাংশের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে - কিভাবে করব
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে – কিভাবে করব

যখন একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কোন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সেবা পার্টনার হিসেবে নিজেদের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ইমেইল নিউজলেটার, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করে এবং সে প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করে, তখন সে প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত কমিশন পায় একেই আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মডেলটি উপার্জন করার জন্য একটি প্রচুরভাবে ব্যবহৃত পদ্ধতি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  1. প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন: আপনি যে প্রোডাক্ট বা সেবা মার্কেটিং করতে চান তা নির্বাচন করুন। আপনি যে কোন প্রকারের প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করতে পারেন, যেমন ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, হেলথ এবং ফিটনেস, বই, ট্রাভেল, ইত্যাদি।
  2. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পছন্দ করুন: প্রোডাক্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন। বিশেষ করে, এটি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে ভাল মানের কমিশন এবং বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
  3. আপনার টার্গেট অডিয়েন্স জানুন: আপনি যে লোকদের কাছে প্রোডাক্ট প্রচার করতে চান, তাদের প্রয়োজনীয়ভাবে জানুন। তারা কোন প্রকারের সমস্যার সম্মুখীন আছেন, তাদের আগ্রহ কি, ইত্যাদি নিয়ে ভালো ধারণা পান।
  4. ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন: একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন যেখানে আপনি প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে আলোচনা করতে পারবেন, এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি প্রদর্শন করতে পারবেন।
  5. কিছু মূল্যবান ও বিশ্বস্ত কন্টেন্ট তৈরি করুন: আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে কিছু মূল্যবান এবং বিশ্বস্ত কন্টেন্ট তৈরি করুন যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স জন্য প্রয়োজন।
  6. সম্পর্কপরিচিতি এবং মার্কেটিং প্রচার করুন: আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি প্রদর্শন করতে যত্ন নিন এবং আপনার প্রতিষ্ঠান কন্ট্যাক্ট পৃষ্ঠা, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, ইমেইল সাইনেচার ইত্যাদি জানিয়ে দিন।
  7. মার্কেটিং কাম্পেইন চালান: আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিশ্বস্ত কন্টেন্ট প্রদর্শন করুন এবং প্রতি প্রচারের জন্য মার্কেটিং কাম্পেইন চালান। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগিং, ইমেইল মার্কেটিং, পেইড প্রমোশন, ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি প্রচার করুন।
  8. পারফর্মেন্স মনিটর করুন এবং পরিবর্তন করুন: আপনার মার্কেটিং কাম্পেইনের পারফর্মেন্স মনিটর করুন। কোন মার্কেটিং পদ্ধতি ভালো পারফর্ম করছে এবং কোনটি না, তা বিশ্লেষণ করুন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন।

স্মরণ রাখতে হবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজ নয়। প্রথমে আপনার প্রচুর সময় প্রয়োজন হতে পারে এবং আপনার পরিশ্রম ও প্রস্তাবনার সাথে আপনি সফলতা খুঁজে পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রধানভাবে চারটি প্রকার আছে, যা নিম্নরূপ:

  1. ওয়েব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই প্রকারে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করে সে থেকে কমিশন পায়। এটি মূলত ওয়েবসাইট ট্রাফিক বা ভিজিটরদের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
  2. ইমেইল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই প্রকারে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ইমেইল মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করে মানুষদের কাছে পৌঁছান।
  3. সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই প্রকারে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করে মানুষদের কাছে পৌঁছান।
  4. কনটেন্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই প্রকারে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষদের জন্য মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করে কমিশন পায়।

এই চারটি প্রকারের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিকল্প রয়েছে, যেটি আপনার পছন্দ এবং দক্ষতা অনুযায়ী নির্বাচন করা যেতে পারে।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:

  1. একটি ভালো স্মার্টফোন ব্যবহার করুন: আপনি যে কোন উপাদান সম্পর্কে আপডেট জানতে একটি ভালো স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন।
  2. ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন: একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন যা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা সহজে অ্যাকসেস করতে পারে।
  3. এপ্লিকেশন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করুন: আপনি যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটপ্লেসে প্রদর্শন করতে চান, তবে আপনি এপ্লিকেশন মার্কেটপ্লেসগুলি ব্যবহার করতে পারেন, যেমন গুগল প্লে স্টোর, আপল App Store, ইত্যাদি।
  4. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি প্রচার করতে পারেন এবং লোকজনের প্রতি পৌঁছাতে পারেন।
  5. কনটেন্ট মার্কেটিং ব্যবহার করুন: আপনি ভিডিও, ইমেজ, অডিও, এবং লেখার মাধ্যমে ভালো কনটেন্ট তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টগুলি প্রচার করতে পারেন।
  6. মোবাইল পেইড প্রয়োজন করুন: আপনি যদি আপনার প্রচারের জন্য অ্যাড বা প্রমোশন করতে চান, তবে মোবাইল পেইড প্রয়োজন করতে পারেন যেন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টগুলি দেখতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য মোবাইল উপকরণগুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার পাবলিক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং অনেক ভালো উপাদান তৈরি করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন এবং কমিশন আদান-প্রদান পাতে পারেন। এই অপশনগুলি প্রধানভাবে নিম্নোক্ত হতে পারে:

  1. Amazon Associates: এটি আমাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম যেখানে আপনি আমাজনের প্রোডাক্ট প্রচার করে কমিশন পাতে পারেন।
  2. ClickBank: ClickBank একটি পপুলার ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেস, যেখান থেকে আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট প্রচার করতে পারেন।
  3. ShareASale: ShareASale হলো একটি প্রয়োজনীয় প্রমোটারদের জন্য একটি জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম।
  4. Rakuten Marketing: এটি একটি বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন প্রমোটারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
  5. CJ Affiliate (formerly Commission Junction): এটি একটি পুরনোত্তর অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন প্রমোটারদের সাথে কাজ করতে পারেন।
  6. Affiliate Window (AWIN): এটি একটি পুরনোত্তর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক যেখান থেকে আপনি বিশ্বস্ত প্রমোটারদের সাথে সংযোগ করতে পারেন।
  7. Etsy Affiliate Program: এটি একটি হ্যান্ডমেড এবং ক্রাফট প্রোডাক্ট প্রচার করার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম।

এই প্ল্যাটফর্মগুলি আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রচার করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম আপনার প্রচার পরিস্থিতি, পছন্দ, এবং লক্ষ্যগুলির সাথে মিল খাচ্ছে তা নিশ্চিত করার জন্য মোটামুটি একে অপরকে তুলনা করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি উপায় যা বিশ্বব্যাপী ওয়েবসাইট ও ওয়েবস্টোর দ্বারা ব্যবহৃত হয় যাতে প্রয়োজনীয় প্রপোসাল, প্রোডাক্ট বা সেবা সরবরাহ করার জন্য প্রচারিত করা হয়। এই বিষয়ে কিছু সুবিধা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. সামাজিক মাধ্যমে প্রচার: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত উপাদান বা প্রোডাক্ট গুলি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা যায়, যা প্রচুর লোকজনের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
  2. ব্রাকেট সার্ভিস প্রদান: অনেক অফার করা হয় যা প্রতিটি বিক্রয় থেকে কিছু অংশ মূল্যের মধ্যে পারিশ্রমিক পাবে, অতএব প্রকৃতি সম্পর্কের সাথে প্রতিশ্রুতি প্রদান করার পরিকল্পনা করা সম্ভব।
  3. স্থায়ী আয়: কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে নিজের কাস্টমার হওয়ার পরিচিতি দেওয়ার পরিশ্রমে নির্ভর করে স্থায়ী আয় সৃষ্টি করে।
  4. জনপ্রিয়তা অর্জন: প্রপোসাল প্রোডাক্ট বা প্রস্তাবনার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহৃত হয়।

এই সুবিধা গুলি যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করে ব্যবসা করেন তাদের জন্য মার্কেটিং প্রপোসাল প্রদান করে। এটি ব্যবসায়িক ভালবাসার এবং আয় বাড়ানোর একটি ভালো উপায় হতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানা প্রয়োজন আছে। নিম্নে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের একটি তালিকা দেওয়া হলো:

  1. মার্কেটিং প্রস্থিতি: আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটিং প্রস্থিতি জানা উচিত, যেহেতু এই জ্ঞান আপনাকে আপনার পাবলিক কে আকর্ষণীয় করার পথে সাহায্য করবে।
  2. ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি: একটি আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনাকে সম্পর্কে জানা দরকার, যা আপনার ট্রাফিক এবং কনভার্সন বাড়ানোর জন্য সাহায্য করবে।
  3. সুযোগ এবং নিয়মিততা: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সময় এবং প্রস্তুতি প্রয়োজন করে। এটি সাপ্তাহিক বা মাসিক নির্ধারিত সময়ে কাজ করার জন্য সময় প্রয়োজন করে তাই নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
  4. প্রোডাক্ট নিয়ে জানা: আপনার প্রমোট করতে চাচ্ছেন প্রোডাক্টের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোডাক্টের বৈশিষ্ট্য, বেনিফিট, এবং মার্কেট ডিমান্ড জানা আপনার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করার সাথে সাথে মদ্ধে সাহায্য করবে।
  5. মার্কেটিং প্ল্যান: একটি ভালো মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। কোন স্পেসিফিক নিশ্চিত লক্ষ্য এবং পরিস্থিতির জন্য প্ল্যান তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ, তাতে স্পষ্টতা আনে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট ক্রম অনুসরণ করতে সাহায্য করে।
  6. মার্কেটিং নেটওয়ার্ক জানা: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্কগুলির সাথে পরিচিত থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতি, কমিশন রেট, পেমেন্ট পলিসি ইত্যাদি নিয়ে জানা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি সঠিক নেটওয়ার্ক বেছে নিতে পারেন।

এই বিষয়গুলির উপর ভালো ধারণা পেলে, আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে শুরু করতে পারেন এবং আপনি আপনার প্রথম প্রয়োজনীয় সফলতা অর্জন করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় কমাতে আপনার প্রচুর পরিশ্রম, পরিকল্পনা, এবং দক্ষতা প্রয়োজন হবে। এটি একটি প্রফেশনাল ব্যবসার মতো কাজ করে এবং প্রারম্ভে সামান্য বা কোন প্রকার একটি নির্দিষ্ট আমাউন্ট আয় করা যায় না। আপনার আয় সামান্য থাকতে পারে বা অনেক বড় হতে পারে, এটি আপনার প্রচুর পরিশ্রম, মার্কেটিং প্ল্যান, আপনার টার্গেট দর্শকের প্রকৃতি, এবং আপনার নির্ধারিত পণ্য বা সেবা এর উপর নির্ভর করে।

আপনি কমিশন পাবেন যতটুকু প্রচুর ট্রাফিক আপনার সাইটে আসে এবং তা কতটুকু লোকজন আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক থেকে প্রোডাক্ট কিনে। আপনি প্রতিটি বিক্রয় থেকে কিছু ভাগ করার পর মোট আয় দেখতে পারেন।

কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে স্থায়ী কমিশন দেয়, মানে আপনি যতক্ষণ তাদের কাস্টমার হওয়ানি ততক্ষণ সাথে সম্পর্ক করতে থাকতে পারেন।

পারফরমেন্স ভিত্তিক কমিশন দেওয়া অনেক জনপ্রিয়, এটি মানে আপনি আপনার ট্রাফিক এবং সেলস পারফরমেন্স ভিত্তিক কমিশন পাবেন।

মোট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি আপনার পাবলিক কে সময় সময় নতুন এবং আকর্ষণীয় অফার এবং ডিসকাউন্ট দিয়ে উৎসাহিত করতে পারেন, যাতে তারা আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক মাধ্যমে ক্রয় করার আগ্রহী হন।

সমস্ত এই প্রক্রিয়াটি সঠিক পদক্ষেপ এবং সঠিক মার্কেটিং প্ল্যান ব্যবহার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে আয় করতে পারেন।

Tags: