শিল্প কাকে বলে:- শিল্প হলো কোনো কাজ বা পদক্ষেত্রে দক্ষতা, দুর্নতি এবং সৃজনশীলতা প্রদর্শন করার ক্ষমতা। শিল্পের মাধ্যমে মানুষ তার ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কল্পনার প্রকাশ করতে পারেন। এটি চিত্রকলা, সাংগীত, নৃত্য, নৃত্যদব্য, থিয়েটার, সিনেমা, আর্কিটেকচার, লেখা, কার্ফিউ, গান, নৃত্যচালনা, শিল্পশিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পায়। এছাড়া, কার্যকলাপভূক্ত কাজ গুলোও অনেক সময় শিল্প হিসেবে গণ্য হয়। শিল্প মাধ্যমে মানুষ সৃজনশীল হওয়ার জন্য নিজেকে বিকাশ করতে পারে, এটি মানসিক সুস্থতা এবং প্রকৃতির সাথে যোগসংলগ্ন থাকার একটি পথও সূচনা করতে পারে।
শিল্প বলতে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, সৃজনশীল মনের আবিষ্কার এবং ক্রিয়াশীলতা বোঝায়। এটি মানব মস্তিষ্ক, ভাবনা, এবং কার্যকর দক্ষতা ব্যবহার করে নতুন কিছু তৈরি করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এটি প্রকৃতি, মানব সমাজ, রাজনৈতিক বা সামাজিক ব্যবস্থা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, রচনা, সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা, নৃত্য, থিয়েটার, সিনেমা, আর্কিটেকচার ইত্যাদির সাথে সংযোজন করে।
শিল্পের মাধ্যমে মানুষ তার মতো কিছু বানাতে পারে যা দেখা, শুনা, বোঝা, অনুভব বা ভাবা যায়। এটি ভাষার বাইরে ও ভাষার মাধ্যমে সম্প্রেক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এটি সমসাময়িক এবং ঐতিহাসিক সময়ের সমাজের চেষ্টা, ভালবাসা, দুশ্মনতা, স্বার্থ, ধর্ম, বিশ্বাস, আশা, আকাংক্ষা, মূল্য, নৈতিকতা, রূপ, শৈলী, সংস্কৃতি ইত্যাদির মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রক্রিয়া বোঝাতে পারে। এটি মানব সমাজের আলোচনা, মূল্যাংকন এবং বিবেক তৈরি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে। সংক্ষেপে বললে, শিল্প মানব মনোভাব, ভাবনা এবং চেষ্টার একটি প্রতিবিম্ব।
শিল্পের প্রয়োজনীয়তা
শিল্প মানব সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বিশাল এবং বিবিধ। কিছু প্রধান প্রয়োজনীয়তা নিম্নলিখিত হতে পারে:
- সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি: শিল্প সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি এবং পরিচালনা করে। প্রস্তুতিতে শিল্পের পাশের সাহায্যে সাংস্কৃতিক পরিচালনা ও প্রচার সম্পন্ন হতে পারে।
- চাকরি সৃষ্টি: শিল্পের ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক লোক চাকরি পায়, যা আর্থিক উন্নতি করে মানব সমাজে অবদান রাখে।
- মূল্যবান পণ্য এবং পরিবারের প্রয়োজনীয়তা: শিল্প মাধ্যমে মূল্যবান পণ্য তৈরি হয় এবং এটি লোকদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করে।
- সমাজের সংক্ষিপ্ত মৌলিক প্রয়োজনীয়তা: ঘরের সাজ-সাজ্জা, প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি, কাঠের বাড়ি তৈরি, ইত্যাদি শিল্পের মাধ্যমে পূর্ণ হয়।
- আর্থিক উন্নতি এবং বাজারে অবস্থান: শিল্পের মাধ্যমে আর্থিক উন্নতি হয় এবং বাজারে ব্যবসা চলে।
- সৃজনশীলতা এবং রচনাত্মক প্রক্রিয়া: শিল্প একটি জিনিসপত্র তৈরির প্রক্রিয়া, মানব বুদ্ধি এবং কল্পনা ব্যবহার করে নতুন আইডিয়া এবং প্রযুক্তি নির্মাণ করে।
- সমাজের শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বৃদ্ধি: শিল্প আদর্শভাবে সমাজের শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বৃদ্ধি করে সামাজিক মানদণ্ড, শিক্ষা, ও সংস্কৃতি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করে।
শিল্প সমাজের সামগ্রিক উন্নতি, সাংস্কৃতিক পরিচালনা এবং একটি প্রদত্ত সাংস্কৃতিক বৃদ্ধি পেশা, শিক্ষা, এবং মানব সমাজের সমৃদ্ধির জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন।
শিল্পের বৈশিষ্ট্য
শিল্পের এই জগতে বেশিরভাগে একটি বা একাধিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এটি অন্য কার্যক্ষেত্রের থেকে আলাদা করে। এটি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
- সৃজনশীলতা: শিল্পে মানুষ নতুন কিছু তৈরি করতে পারে, যা সৃজনাত্মক প্রক্রিয়া সাধারণভাবে জানা হয়।
- দৃষ্টিভঙ্গি: শিল্পে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার হয়, যা প্রতিটি শিল্পে আপেক্ষিক। এটি আলোক, রঙ, আকার, ভর, মাধ্যম, প্রক্রিয়া ইত্যাদি সামাজিক, রম্য এবং ব্যক্তিগত প্রকৃতিতে বৈকল্পিকতা প্রদান করে।
- আমূর্ত এবং মূর্ত শিল্প: আমূর্ত শিল্পে মানব রূপের অভিব্যক্তি হয় যেখানে মূর্ত শিল্পে প্রাণী বা পদার্থের আকৃতি দেওয়া হয়।
- ভাষার অভিব্যক্তি: শিল্পে মূল্যবান বা ভাষার অভিব্যক্তি করা হয়।
- ক্যারিকেচার, স্টাইল, এবং টেকনিক: প্রতিটি শিল্প কর্ম ক্যারিকেচার বা শিল্পের উদ্দেশ্য, প্রস্থিতি এবং স্টাইল দেখায় এবং এটি সম্পর্কিত টেকনিক ব্যবহার করে তৈরি হয়।
- ভাবনা এবং ভাবনামূলকতা: শিল্প মাধ্যমে ভাবনা ও ভাবনামূলকতা প্রকাশ পাওয়া হয়। এটি মানব চিন্তা, ভাবনা, এবং ব্যক্তিগত মূল্যের সাথে জড়িত।
- পারিশ্রমিক এবং প্রশাসনিক দক্ষতা: এই ক্ষেত্রে আলোচনা হয় শিল্প প্রক্রিয়া বা প্রজেক্ট পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক এবং প্রশাসনিক দক্ষতা হতে পারে।
শিল্পের এই বৈশিষ্ট্যগুলি মিলে এটিকে অন্যান্য কার্যক্ষেত্রের থেকে আলাদা করে তোলে এটি একটি বিশেষ ও মূল্যবান ক্ষেত্র করে তোলে। এটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থনৈতিক, এবং শিক্ষাশাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায় এবং মানব সমাজের প্রতি বৃদ্ধি এবং উন্নতি করতে সাহায্য করে।
