সঙ্গীত কি বা সঙ্গীত কাকে বলে

সঙ্গীত কি- সঙ্গীত হলো একটি কলা যা বিশেষ স্বর ও তালে বিন্যাসিত হয়। এটি কানের মাধ্যমে অনুভব করা যায় এবং সময়ের অনেক কিছু দিয়ে প্রকাশ করা যায়। সঙ্গীত সাধারণভাবে স্বর ও তালের সমন্বয়ে প্রকাশ করা হয়, যা মেলোডি ও রিথম হিসেবে পরিচিত। এটি অনেক প্রকারের প্রজন্মে বিকাশ পাতে পারে, যেমন শাস্ত্রীয়, লাইট, ফোকলোর, পপ, রক, জাজ, ক্লাসিক্যাল, ফোল্ক ইত্যাদি।

সঙ্গীত সাধারণভাবে মানুষের মানসিক অবস্থা, ভাবনা, সামাজিক পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সাথে জড়িত। এটি কলার একটি আদৃশ্য রূপ, যা বিশ্বব্যাপী ভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। সঙ্গীত বাণিজ্যিক, সাহিত্যিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি সমাহিত করতে পারে এবং প্রজন্মের মাধ্যমে মানব ভাবনা এবং সমস্যা ব্যক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

সঙ্গীত কি বা সঙ্গীত কাকে বলে
সঙ্গীত কি বা সঙ্গীত কাকে বলে

সঙ্গীত কত প্রকার

সঙ্গীত অনেক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যা বিভিন্ন ভাষায় এবং সংগীতের ব্যবহার ও সাংগঠনিক ধারণার ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। এটি একটি বড় ও বিস্তৃত শাখা, যা বিশ্বের বিভিন্ন সাংগীতিক প্রথা এবং সংস্কৃতির প্রতি আদান-প্রদানের সাথে সম্পর্কিত। যেহেতু সঙ্গীতের প্রকার অনেক বিশাল, আমি এখানে কিছু প্রধান সঙ্গীতের প্রকার উল্লিখিত করতে চেষ্টা করব।

  1. শাস্ত্রীয় সঙ্গীত: শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ভারতীয় ও পশ্চিম সভ্যতা থেকে উৎপন্ন হওয়া একটি প্রধান সঙ্গীতের প্রকার। এটি মূলত রাগ, তাল, হারমনি, স্বর, ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে গাওয়া হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে রাগ ও তালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি দিগন্ত প্রণালি থাকতে পারে যা বিশেষ ভাষায় বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে নরতঙ্গ সাধনা ক্রমশঃ ধ্রুপদ, খ্যাল, তপস্যা, থুমরি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। পশ্চিমী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হিসেবে হারমনি ও মিলোডি গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতে বৃদ্ধি করা হয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশে। পশ্চিমী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রমুখভাবে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, আস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি অঞ্চলে প্রচলিত।
  2. লাইট সঙ্গীত : এটি প্রধানভাবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে প্রতিষ্ঠিত এবং আমরা প্রচুরভাবে দৃশ্যশালা, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, রেডিও, প্রোগ্রাম, কনসার্ট, ইত্যাদির মাধ্যমে শোনি। এটি ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের নিরাপত্তা ও সংকোচ হারাতে ব্যবহৃত হয়, এবং অনেক সময় লোকসংগীত, ফোক সঙ্গীত, পপ সঙ্গীত, জাজ সঙ্গীত, রক সঙ্গীত, ইত্যাদির অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
  3. প্রশাসনিক সঙ্গীত: প্রশাসনিক সঙ্গীত প্রধানভাবে সক্ষুদক্ষ বিষয়ে একটি বিশেষ সৃজনশীল দিক দেয়, সেই সক্ষম ব্যক্তি বা সংস্থা যারা সঙ্গীতে দক্ষ এবং শিক্ষাপ্রণালি অনুসরণ করতে পারে বা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে জড়িত প্রকাশনা করতে পারে।
  4. লোকসঙ্গীত : এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সংগীতের প্রকার না হলেও, প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীত থেকে আলাদা হওয়া এবং এটি প্রধানভাবে একটি নিরাপত্তা ও সংকোচ হারাতে ব্যবহৃত হওয়া প্রকার হওয়া সম্পর্কিত। লোকসঙ্গীত প্রধানভাবে একটি নির্দিষ্ট সামাজিক বা সাংস্কৃতিক গুণ ও লোকজীবনের প্রতি আদান-প্রদানের সাথে সম্পর্কিত।
  5. পপ সঙ্গীত: এটি সাধারণভাবে প্রশাসনিক সঙ্গীত বা লাইট সঙ্গীতের থেকে পার্থক্য করে একটি সময় এবং অদলবদল স্থাপন করতে হয়। এটি আধুনিক প্রযুক্তির সাথে মিশ্রণ করে তৈরি করা হয় এবং আমাদের দিনগুলির জন্য একটি অধিক পরিচিত সঙ্গীতের প্রকার।
  6. রক সঙ্গীত: রক সঙ্গীত প্রধানভাবে বৃদ্ধি পায় পশ্চিমী দেশগুলিতে, যেখানে বাজারে বিশাল এবং পারস্পরিকভাবে প্রচুরভাবে এই সঙ্গীত শ্রোতাদের জন্য প্রকাশ করা হয়। এটি সাধারণভাবে গিটার, ড্রাম, বাস গিটার ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এবং এটি অনেকটি গতিময় হতে পারে।

সঙ্গীত আরও অনেক ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল এবং সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য ধারণা করে থাকে। প্রত্যেক প্রজন্মের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং ইতিহাসে তাদের নিজস্ব সঙ্গীত পরিচিত এবং প্রচুর পরিমাণে প্রচলিত হতে পারে।

সঙ্গীতের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

সঙ্গীত একটি প্রাচীন ও ব্যপক শিল্প ও বিজ্ঞান যা আমাদের পৃথিবীর প্রাচীনতম শিল্প ফর্ম হিসেবে পরিচিত। সঙ্গীতের উৎপত্তি এবং ক্রমবিকাশ নিয়ে বিভিন্ন তথ্যসূত্র আছে, তবে নির্দিষ্টভাবে এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে স্পষ্ট একটি নির্দ্ধারণ করা কঠিন। তবে, প্রাচীন সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিশেষভাবে সঙ্গীতের উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়।

  1. প্রাচীন সময়ের সঙ্গীত: প্রাচীন সময়ে সঙ্গীত প্রথম আবির্ভূত হয়েছে কিছু মৌলিক সাধনার সাথে, যেমন হাতে তালি বাজানো, পাথর দিয়ে আবদ্ধ কিংবদন্তি সাধনা ইত্যাদি। প্রাচীন সময়ে সঙ্গীতের এই প্রারম্ভিক রূপে প্রচুর ব্যবহৃত হত। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে হাতে তালি বাজানো, হারমনি, রাগ, তাল, স্বর ইত্যাদি নিয়ে অনেক গভীর গবেষণা করা হয়েছে যা প্রাচীন সঙ্গীতের পরিচিতি করায়।
  2. গ্রীক সঙ্গীত: গ্রীক সংগীতশাস্ত্র অনেক প্রাচীন এবং গভীর ধারণা সংগ্রহ করেছে। গ্রীক সংগীতবিদগণ গানের সাথে সংগীতিক মিশ্রণ করে ব্যবহার করতেন, যা মেলোডি, হারমনি, রিথম, ইত্যাদির প্রথম নির্দিষ্ট উল্লেখ গড়ে তোলে।

প্রমুখ ধারণা:

  1. মেলোডি: সঙ্গীতের মূল ভাবনা বা গানের মেলোডি হলো বিভিন্ন স্বরের আদৃশ্য ক্রম। এটি একটি গানে বা সংগীতের মূল ধারণা কে নির্দেশ করে।
  2. হারমনি : এটি বিভিন্ন স্বরের সমন্বয় ও সম্পর্ক নিয়ে বলে। সংগীতে হারমনি মূলত একাধিক স্বরের মেলোডির সমন্বয়ে উত্পন্ন হয়।
  3. রাগ : এটি একটি নির্দিষ্ট স্বরিত মেলোডির সামন্য ও নিয়ম বা রীতির সমষ্টি যা নির্দিষ্ট ভাবনা ও অনুভূতি উপস্থাপন করে।
  4. তাল: সঙ্গীতে সময় পরিমাপনে ব্যবহৃত হয়। এটি সঙ্গীতে গানের গতি ও সময়ের মাধ্যমে আদৃশ্য করে।

সঙ্গীতের এই মৌলিক ধারণাগুলি প্রাচীন সময়ে থেকে ক্রমবিকাশ করে এসেছে এবং এগুলি আজও সংগীতের মূল ভাবনা হিসেবে ব্যবহার হয়। প্রত্যেক সময়ে আরও নতুন স্বর সিস্টেম ও সাংগঠনিক ধারণা বাড়ছে, যা সঙ্গীতের আরও গভীর বৃদ্ধি করছে।

মানব জীবনে সঙ্গীতের প্রভাব

সঙ্গীত মানব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মানব সমাজে প্রভাব ফেলে। সঙ্গীত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠিত করে দেখা গিয়েছে যে, সঙ্গীত মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে ভালো করতে সাহায্য করতে পারে। এটি মানসিক চিন্তা ও সমস্যা সম্পর্কিত সমস্যা যেমন চিন্তা, মানসিক চাপ ও দুশ্মন্থন নিরসনে সাহায্য করতে পারে।

আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সঙ্গীতের মাধ্যমে কিছু উপাদান যোগ করা যায়:

  1. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: সঙ্গীত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং মানসিক শান্তি ও সান্ত্বনা দেওয়া যায়। মেলোডি, সঙ্গীত ইত্যাদি মানসিক স্ট্রেস কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
  2. শারীরিক স্বাস্থ্য: সঙ্গীত কার্যকরীভাবে শারীরিক স্বাস্থ্যকে ভালো করতে পারে। নিয়মিত সঙ্গীত অনুষ্ঠান শারীরিক শক্তি ও চাসিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  3. সম্প্রেত ভাবনা: সঙ্গীত মানসিক অবস্থা এবং ভাবনা ব্যক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। কিছু গান বা সঙ্গীতের মাধ্যমে একটি বিশেষ ভাবনা বা অবস্থা প্রকাশ করা যায় যা শব্দের মাধ্যমে কঠিনভাবে বা সংক্ষেপে ব্যক্ত হতে পারে না।
  4. সামাজিক যোগাযোগ: সঙ্গীত সামাজিক যোগাযোগ বা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে। সঙ্গীতের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য লোকের সাথে ভাবনা এবং সময় ভাগ করতে পারি।
  5. শিক্ষা ও বিকাশ: সঙ্গীত মানব বুদ্ধি ও শিক্ষার প্রকাশে সাহায্য করতে পারে। বেশিরভাগ ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিক্ষা মাধ্যমে মানুষ স্বতন্ত্র ভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সাহায্য করতে পারে নতুন কিছু শিখতে।

সঙ্গীত আমাদের মানব জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনাচরণ হিসেবে প্রকাশ করতে পারে, যা আমাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং আমাদের সামাজিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

Tags: