সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে – সমাজবিজ্ঞানের জনক কে

সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে

সমাজবিজ্ঞান হলো মানব সমাজের গঠন, প্রবৃদ্ধি, সমস্যা, সংঘটন, বিশ্লেষণ, এবং সমাজের বিভিন্ন দিকের মধ্যে সম্পর্কে অধ্যয়ন করা। সমাজবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য মানব সমাজকে বুঝতে, তার গঠন এবং কার্যপ্রণালী বিশ্লেষণ করতে, এবং সমাজে ঘটিত পরিবর্তনের মৌলিক কারণ জানতে।

সমাজবিজ্ঞান বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হতে পারে, যেমন সামাজিক রাজনীতি, সমাজশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞানে ভৌতবিজ্ঞান, আন্তর্দৃষ্টি, প্রবৃদ্ধি, সমাজতন্ত্র, ব্যক্তিত্ব বিজ্ঞান, ইত্যাদি।

সমাজবিজ্ঞান শব্দটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়েছে – “সমাজ” এবং “বিজ্ঞান”। “সমাজ” হলো মানব বা জীবজন্তু সম্প্রদায় বা সম্প্রদায়ের একটি সমৃদ্ধি বা সংঘটন, এবং “বিজ্ঞান” হলো জ্ঞান এবং তত্ত্ব প্রযুক্তি। সমাজবিজ্ঞান মানব সমাজের বিভিন্ন দিকের মধ্যে যে সম্পর্ক বা প্রতিরোধ রয়েছে তা অনুসন্ধান করে এবং এর মাধ্যমে বৃদ্ধি, উন্নতি এবং সামাজিক পরিবর্তনের কারণ বোঝার চেষ্টা করে।

সমাজবিজ্ঞানের জনক কে
সমাজবিজ্ঞানের জনক কে

সমাজবিজ্ঞানের জনক কে

সমাজবিজ্ঞানের জনকের দিকে বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে, কারণ এটি একটি বিশাল এবং বিবিধ শাখা যা বিভিন্ন সময়ে এবং অবস্থানে বিকশিত হয়েছে। তবে, এটির সাধারিত মূলভূত উদ্দীপক হিসেবে অনেকে এমিল ডুরকেই মনে করেন, যার মূল কাজের বই “সমাজবিজ্ঞানের নিয়ম” (The Rules of Sociological Method) হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

এমিল ডুরকে (Emile Durkheim), একজন ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী, মানব সমাজের অধ্যয়নের সাধারিত নিয়ম ও পদ্ধতি প্রস্তুত করেন। তার মতে, সমাজবিজ্ঞান মানব সমাজকে একটি বিশেষ বা আত্মনির্ভর বিজ্ঞান হিসেবে অধ্যয়ন করতে হয়, এবং এটির পৃষ্ঠে নিজেকে নিরাপদ এবং ব্যক্তিগত ভাবে রাখতে হয়। তার কাজের মধ্যে উত্তরদাতার বিজ্ঞান প্রণালী এবং সমাজতন্ত্র নিয়ে বিশেষ কাজ করা হয়েছে।

এমিল ডুরকেই সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত হয়েছে, এবং তার মূল ধারণাগুলি আজও সমাজবিজ্ঞানের ভৌগোলিক এবং আদান-প্রদানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য

সমাজবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য অনেকগুলি রয়েছে, যা এই বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা ও বিষয়গুলি থেকে আলাদা করে। এটির বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:

  • মানবকেন্দ্রিকতা: সমাজবিজ্ঞানের মূল বৈশিষ্ট্যের একটি হলো এর মানবকেন্দ্রিকতা। এটি মানুষের সমাজিক জীবন, সংস্কৃতি, সমাজের গঠন, এবং মানব সম্পর্কে অধ্যয়ন করে।
  • বিশেষ মূলধারণা ও প্রণালী: সমাজবিজ্ঞান একটি বিশেষ মূলধারণা এবং প্রণালী ব্যবহার করে সমাজের পরিকল্পনা, গঠন, এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে বোঝাতে।
  • প্রধান উদ্দেশ্য সমাজের বৃদ্ধি ও উন্নতি: সমাজবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য মূলত মানব সমাজের বৃদ্ধি, উন্নতি, এবং সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
  • প্রস্তুতকারী মেথড: সমাজবিজ্ঞানে প্রস্তুতকারী মেথড ব্যবহার করে বিভিন্ন সমাজিক পদক্ষেপের ফলাফল নিরীক্ষণ করা হয়।
  • ব্যক্তিগত ও সামাজিক দিক উভয়ের মধ্যস্থতা: সমাজবিজ্ঞান একইভাবে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক দিকে মুখোমুখি হতে পারে, এবং এটি উভয়ই মানব সমাজের সম্বন্ধ ও প্রভাব বোঝাতে চেষ্টা করে।
  • বিজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা: সমাজবিজ্ঞান বিশেষত্তর করে বিজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা করে, ডেটা সংগ্রহ করে, এবং বিভিন্ন ধারাবাহিক মেথড ব্যবহার করে তত্ত্বগত ও প্রয়োগিক দিকে অনুসন্ধান করে।

এই বৈশিষ্ট্যগুলি সমাজবিজ্ঞানকে একটি আলাদা ও গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান হিসেবে অংশীদার করে।

সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা

সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে, বিভিন্ন দক্ষতা, ধারাবাহিক সম্পর্ক, এবং তত্ত্বগত সীমার মধ্যে বিশেষ ভূমিকা পায় এই বিজ্ঞান।

প্রকৃতি ও পরিধি

  • প্রকৃতি এবং পরিধির প্রভাব: সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়ন করে কেমন প্রকৃতির ও পরিধির প্রভাবে মানব সমাজ ও সংস্কৃতির অর্থনীতি, সমাজ প্রণালী, এবং ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিবর্তনের উৎস হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, পরিবার ও সমাজের স্থায়িতা, শক্তির ভাগবিভাজন, রাজনৈতিক সাংবাদিকতা ইত্যাদি এসব আসলে প্রকৃতি এবং পরিধির সাথে সংঘটিত।
  • প্রকৃতি ও পরিধির অনুসন্ধান: সমাজবিজ্ঞানীরা একইভাবে প্রকৃতি ও পরিধির অনুসন্ধান করে এবং এদের সাথে মানব সমাজের মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে চেষ্টা করেন। এটি সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে, উদাহরণস্বরূপ সমাজশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞানের ভৌতবিজ্ঞান, এবং অন্যান্য শাখাগুলিতে অনুসন্ধান করা হয়।
  • প্রকৃতি ও পরিধির পর্যায়কান্ড: প্রকৃতি এবং পরিধি একইভাবে সমাজবিজ্ঞানের কাঠামোতে এসেছে পর্যায়কান্ডে। এটি বোঝানোর চেষ্টা করে যে, কোনও নির্দিষ্ট প্রকৃতির পর্যায়ে বা পরিধির ব্যক্তিত্ববাদ কোথায় ও কিভাবে প্রভাবিত হতে পারে এবং তার সাথে মানব সমাজের সংবাদ কী সম্পর্ক থাকতে পারে।
  • প্রকৃতি ও পরিধির পর্যায়কান্ডের উপায়: সমাজবিজ্ঞানে এই প্রকৃতি এবং পরিধির পর্যায়কান্ডগুলি আবিষ্কৃত করার জন্য বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে অনুসন্ধান হয়েছে, যেমন কোয়ান্টিটেটিভ এবং কোয়ালিটেটিভ গবেষণা, পৌরাণিক এবং লোকগাথা অধ্যয়ন, এবং বিশেষ অধ্যয়নের মাধ্যমে।

এই সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধির পর্যায়কান্ড মানব সমাজের সাথে এই দুটির সংবাদ ও সম্পর্কের অনুভূতি প্রদান করে এবং মানব সমাজের দৈহিক, মানসিক, এবং সামাজিক বিকাশের সাথে এই প্রকৃতি ও পরিধির ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের আরও ভাল বোঝায়।

সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা

সমাজবিজ্ঞান পাঠ মানব সমাজের গঠন, প্রবৃদ্ধি, সমস্যা, সংঘটন, বিশ্লেষণ, এবং সমাজের বিভিন্ন দিকের মধ্যে সম্পর্কে অধ্যয়ন করে। এটি নির্দিষ্ট ধারণা ও পদ্ধতিতে মানব সমাজ ও তার উন্নতির অধ্যয়নে সহায়ক। সমাজবিজ্ঞানের পাঠের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:

  • সমাজ ও মানব বৈশিষ্ট্য বোঝা: সমাজবিজ্ঞানের পাঠ মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা মানব বৈশিষ্ট্য এবং সমাজের গঠন বোঝতে পারে, যা তাদেরকে বিভিন্ন সমাজিক প্রস্তুতি, উন্নতি, এবং সমস্যার সাম্প্রদায়িক দিকে পরিচিত করে।
  • সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব এবং মেথড শেখা: সমাজবিজ্ঞানের পাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা মূল সৃষ্টি, উদ্দীপক, ও সমাজবিজ্ঞানের প্রধান তত্ত্ব ও মেথড শেখে তাদের সমাজবিজ্ঞানিক বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত হন।
  • সমাজের সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান জননে: ছাত্র-ছাত্রীরা সমাজবিজ্ঞানের পাঠের মাধ্যমে সমাজের সমস্যা এবং তার সম্ভাব্য সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে পারে, যা একটি তার্গতকভাবে উদ্যোগী সমাজবিজ্ঞানিক হওয়ার জন্য তাদের উৎসাহিত করতে পারে।
  • বিশেষ সমাজবিজ্ঞানিক প্রকল্পে অংশ নেওয়া: সমাজবিজ্ঞানের পাঠ ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষ সমাজবিজ্ঞানিক প্রকল্পে অংশ নেওয়ার চাইতে পারে, যা তাদের সমাজবিজ্ঞানিক ক্ষমতা এবং গবেষণা দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • সমাজবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার বানাতে: সমাজবিজ্ঞান পাঠ সমাপন করার পর, ছাত্র-ছাত্রীরা সমাজবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে, যা তাদেরকে বিভিন্ন পেশাদানে চাকরি করার সুযোগ দেয়।

সমগ্রভাবে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ ছাত্র-ছাত্রীদের মানব সমাজ ও তার বিভিন্ন দিকের মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদেরকে একটি সমাজবিজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

সমাজবিজ্ঞান কে বিজ্ঞান বলার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি

সমাজবিজ্ঞান কে বিজ্ঞান বলার পক্ষে

  • বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: সমাজবিজ্ঞান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অধ্যয়ন করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে। এটি বিশেষত প্রস্তুতকারী পদ্ধতিতে প্রস্তুতি ও গবেষণা করে, যা বিজ্ঞানের পদ্ধতির মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে বোঝায়।
  • বৈজ্ঞানিক মেথড এবং তত্ত্বের অনুসন্ধান: সমাজবিজ্ঞান প্রধানভাবে বৈজ্ঞানিক মেথড এবং তত্ত্ব ব্যবহার করে সমাজের গঠন, পরিবর্তন, এবং বিভিন্ন দিকের মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে।
  • পূর্ববর্তী অধ্যয়ন এবং গবেষণা মৌল্যায়ন: সমাজবিজ্ঞান পূর্ববর্তী অধ্যয়ন এবং গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এবং নতুন তত্ত্ব এবং মৌল্যায়নে অবদান রয়েছে।
  • কারণ-ফল সম্পর্কের অধ্যয়ন: সমাজবিজ্ঞান কারণ-ফল সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করে এবং মানব সমাজের প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, এবং ব্যক্তিগত পরিস্থিতির মধ্যে কারণ-ফল সম্পর্কগুলি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

সমাজবিজ্ঞান কে বিজ্ঞান বলার বিপক্ষে

  • প্রভাষণ ও মৌল্যায়নের বৃদ্ধি: সমাজবিজ্ঞানের অধ্যয়নে বা তার ফলাফলে সমাজের বিভিন্ন সময়ে মৌল্যায়ন ও অনুভূতির বৃদ্ধি হয়েছে। এটি সমাজে ভৌতবিজ্ঞান এবং নীতি বিজ্ঞানের মতো অবিশ্বাস্য প্রভাষণ এবং মৌল্যায়নের মাধ্যমে অধিক জনপ্রিয় হয়েছে, যা কিছুটা সবুজ বা অসতর্কতা সৃষ্টি করে।
  • প্রবৃদ্ধির অভাব: সমাজবিজ্ঞান কয়েকটি মৌল্য নির্ধারণ করে, এবং তার মধ্যে মৌল্যের উপর একক একক মতামত আসার অভাব বলে মনে হয়। এটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি করে এবং সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিতর্কে কারণ হতে পারে।
  • অসুস্থ দৃষ্টিকোণ: কিছুটা সমাজবিজ্ঞানিক পদক্ষেপের জন্য তার অসুস্থ দৃষ্টিকোণের জন্য খবর হয়েছে, সেটি একটি যত্নের কথা হতে পারে এবং কিছু সময়ে তার পথে আগুন দেয়।
  • আধুনিক সমাজের সঙ্গী বা পরিচারক হিসেবে: সমাজবিজ্ঞানকে আধুনিক সমাজের সঙ্গী বা পরিচারক হিসেবে দেখা হয়, যা তার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ব্যবহারকে অনুমোদন দিতে সহায় করতে পারে না।

এগুলি হলো সমাজবিজ্ঞান বলার পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তিগুলি। এই দুটি দৃষ্টিকোণের মধ্যে তার মূল বৈশিষ্ট্য এবং বিষয়গুলি সমাধানে ও চ্যালেঞ্জ করার সময়ে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করা গুরুত্বপূর্ণ।

Tags: