বায়ুমণ্ডল কাকে বলে – বায়ুমণ্ডলের স্তর কয়টি

বায়ুমণ্ডল কাকে বলে

বায়ুমণ্ডল হল গ্যাসের একটি কম্বল যা পৃথিবীকে ঘিরে থাকে। এটি পৃথিবীর মহাকর্ষীয় আকর্ষণ দ্বারা গ্রহের পৃষ্ঠের কাছাকাছি রাখা হয়। বায়ুমণ্ডলের তিনটি প্রধান উপাদান থেকে আর্গন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন। বায়ুমণ্ডলটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে পৃষ্ঠভূমি থেকে উপরে পর্যাপ্ত গভীর স্থানে অবস্থিত থাকে। এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠভূমি থেকে শীর্ষকে পর্যাপ্ত স্থানের উচ্চতার সাথে সংযোজিত একটি সংরক্ষণযোগ্য এলাকা।”বায়ুমণ্ডল হল গ্যাসের একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর যা পৃথিবীর সমস্ত জীবনকে আশ্রয় করে, তাপমাত্রাকে তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরের মধ্যে রাখে এবং সূর্যালোকের ক্ষতিকারক রশ্মিকে অবরুদ্ধ করে।”

বায়ুমণ্ডল কাকে বলে - বায়ুমণ্ডলের স্তর কয়টি
বায়ুমণ্ডল কাকে বলে – বায়ুমণ্ডলের স্তর কয়টি

বায়ুমণ্ডলের স্তর কয়টি

বায়ুমণ্ডলটি প্রায় চারটি প্রধান স্তরে বিভক্ত হয়ে থাকে, যা মেয়াদবাদীভাবে বিবেচনা করা হয়:

  1. ত্রিভুজ পার্থিব (ত্রিভুজমণ্ডল): এটি সবচেয়ে নিচের স্তর এবং পৃথিবীর উপর থাকে প্রায় ০-১২ কিলোমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। এই স্তরে বায়ু ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা একটি বৃদ্ধি পায়।
  2. স্ট্র্যাটোসফিয়ার (স্ট্র্যাটোসফিক মণ্ডল): এটি প্রায় ১২-৫০ কিলোমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই স্তরে বায়ু শীতল হয়ে থাকে এবং ক্লোডগুলি প্রস্তুত হয়।
  3. মেসোসফিয়ার (মেসোসফিক মণ্ডল): এই স্তরটি প্রায় ৫০-৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং এটি স্ট্র্যাটোসফিয়ার এবং থার্মোসফিয়ার মধ্যে অবস্থিত।
  4. থার্মোসফিয়ার (থার্মোসফিক মণ্ডল): এই স্তরটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার থেকে উচ্চ এবং এটি মেসোসফিয়ার এবং ইস্ট্রোসফিয়ার মধ্যে অবস্থিত। এই স্তরে বায়ু তাপমাত্রা এবং শখ প্রস্তুত হতে থাকে।

বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তর কোনটি

বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তরটি হল “এক্সোসফিয়ার” বা “অউটার স্পেস”। এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে উচ্চ স্তর এবং পৃথিবীর উপর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বা তারও উপরে অবস্থিত থাকে। এই স্তরটি বৃহত্তর বায়ুমণ্ডল থেকে বাইরে এবং মহাকাশে প্রসারিত হয়ে থাকে। এটি কোনও ভূমিকা অথবা ভৌতিক অবস্থান নয়, এবং এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরের এবং বাইরের কোনও পর্যায়ের সাথে সংঘটিত থাকে না।

বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর কোনটি

বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরটি হল “ত্রিভুজ পার্থিব” বা “ত্রিভুজমণ্ডল”। এই স্তরটি পৃথিবীর উপর থেকে শীর্ষকে প্রায় 0-12 কিলোমিটার সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অবস্থিত থাকে। এই স্তরে বায়ু ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা একটি বৃদ্ধি পায়, এবং এটি আমাদের উচ্চতার অংশের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থিত আছে।

বায়ুমন্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি

বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বায়ুমণ্ডলের প্রকৃতপক্ষে, বৃষ্টি, বায়ুদবি, এবং নীলবর্ণ বৃষ্টি বা ওজন মাত্রায় অত্যন্ত সুক্ষম কাণিজসূক্ষ্ম কণাগুলির মধ্যে নাইট্রোজেন প্রধান হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডলের পরিমাণগুলি পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং বৃদ্ধি-ক্ষয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তবে নাইট্রোজেন মৌলের বৃদ্ধি সবচেয়ে বৃদ্ধি প্রয়োজনে হতে পারে।

বায়ুমণ্ডলে অন্যান্য গ্যাসগুলি হলো অক্সিজেন, আর্গন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, হেলিয়াম, মেথেন, ওজোন, কার্বন মোনোক্সাইড, ক্রিপটন, জনোন, জো এবং অন্যান্য গ্যাসের মিশ্রণ।

বায়ুমন্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে কম

বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে কম হলো হেলিয়ামের। হেলিয়াম একটি অমৃতক গ্যাস, যা প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৯৫ সালে। হেলিয়াম প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য গ্যাসের সাথে তুলনামূলকভাবে সুস্থিত অসম্ভাব্য হালকা এবং অবস্থান-অস্থান পরিবর্তনশীল একটি গ্যাস।

হেলিয়াম একটি নিঃসরণীয় গ্যাস, এটি রঙের বৃদ্ধি না করে, রঙ্গিন বা অসবাধীন আলো দ্বারা প্রকাশিত হতে পারে না। এটি অত্যন্ত স্থিতিশীল এবং প্রকৃতপক্ষে সহ্য ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি, যা একটি উজ্জ্বল তারকা হিসেবে পরিচিত। হেলিয়ামের পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে অন্য গ্যাসের সাথে তুলনামূলকভাবে খুব কম।

বায়ুমন্ডলের প্রধান উপাদান কোনটি

বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলি হলো নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আর্গন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, নব, হিলিয়াম, মেথেন, ওজোন, কার্বন মোনোক্সাইড, ক্রিপটন, জনোন, এবং এইরগয়ন।

  • নাইট্রোজেন: বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন একটি মৌল গ্যাস, যা বৃষ্টির গঠনে অবদান রয়েছে এবং গ্রীষ্মকালে বায়ুমণ্ডলের প্রাথমিক উপাদানের মধ্যে একটি।
  • অক্সিজেন: অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস, যা জীবনের জন্য প্রাথমিক উপাদান হিসেবে পরিচিত।
  • আর্গন: বায়ুমণ্ডলে আর্গন একটি নব গ্যাস, যা একে অপরের সাথে অমিশ্রিত অবস্থানে থাকে এবং বায়ুমণ্ডলের প্রধান অস্তিত্বের একটি উদাহরণ।
  • কার্বন ডাইঅক্সাইড: বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড হলো একটি গ্রীষ্মকালীন প্রদূষণ, যা জীবনের প্রক্রিয়াগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এই উপাদানগুলি একসাথে বায়ুমণ্ডলের সামাগ্রিক রচনা তৈরি করে এবং পৃথিবীতে জীবন সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাজ করে।

Tags: