ফটোগ্রাফার মানে কি

ফটোগ্রাফার হলে তার পেশাদার কাজ হলো চিত্র তৈরি করা। ফটোগ্রাফার একজন ব্যক্তি যে ছবি তৈরি করতে পারে তাকে ফটোগ্রাফার বলা হয়। এই পেশার লোকরা বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করতে পারে, যেমন পোর্টরেট (মুখের ছবি), ল্যান্ডস্কেপ (দৃশ্যের ছবি), কার্যক্রম, ভিডিও সহ বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করতে পারে।

ফটোগ্রাফি হলো একটি ক্রেয়েটিভ পেশা, এবং এটি একটি শিল্পও হতে পারে। একজন ভালো ফটোগ্রাফার ছবির মাধ্যমে দৃশ্যের রূপ, অবস্থা, ভাবনা ইত্যাদি ব্যক্ত করতে পারে এবং তার কাজের মাধ্যমে তার দর্শকদের মনোভাব তৈরি করতে পারে।

একজন ফটোগ্রাফার তার কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি উপাদান ব্যবহার করতে পারে, সাথে সাথে উপাদানগুলির সঠিক ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন টেকনোলজি ও সাধনা অধিকার করতে পারে। ফটোগ্রাফার হতে সহজ নয়, এটি একটি কাজের দিকে যাত্রা হতে পারে অথবা এটি একটি শিক্ষার মাধ্যমে শেখা হতে পারে।

ফটোগ্রাফার মানে কি

ফটোগ্রাফির জনক কে

ফটোগ্রাফির জনক হলেন জোসেফ নিসেফোর নিয়েপ্স। তিনি হলেন ফর্স্ট ফটোগ্রাফার, এবং ১৮২৬ সালে পরবর্তী তার প্রথম ছবি তুলেছিলেন। তার প্রথম ছবি হলো একটি ভাস্কর্যকর্তা যার কাছে একটি ঘড়ি আছে। এই ছবি তিনি প্রকাশ করেছিলেন মার্চ ১৮২৬ সালে।

জোসেফ নিসেফোর ছবিতে লাইট করণীয় বিজ্ঞানে আগ্রহী ছিলেন এবং তিনি লেন্স এবং ক্যামেরা তৈরি করতে ভালো ছিলেন। এই ধারণাগুলি পরের ফটোগ্রাফারদের কাজে এসে অগ্রগতি করে।

ফটোগ্রাফি শব্দটি যুনানী শব্দ “ফোটোস” থেকে এসেছে, যা আলো বা আলোর আলবিড়ই অর্থ। “গ্রাফোস” হলো চিত্র বা ছবি তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত শব্দ। এই ভাবে ফটোগ্রাফি শব্দের অর্থ হলো “আলো বা আলোর ছবি তৈরি করা”।

ফটোগ্রাফির ইতিহাস

ফটোগ্রাফির ইতিহাস অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এবং উদ্ভাসী হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন পৌরাণিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলোর ছবি তৈরির প্রচেষ্টা হয়েছে। তবে, ফটোগ্রাফি সত্যিকারের অবশ্যই ১৯শ শতাব্দীর মধ্যে উত্পন্ন হয়েছে।

  • প্রাথমিক ধারণা এবং অগ্রগতি (১৮শ শতাব্দী): ফটোগ্রাফির প্রথম চেষ্টা হয়েছিল ফর্মাসেপ্টিক ছবিতে প্রতিবিম্বসূচির সাথে খুব সহাজে আলোক প্রতিফলন তৈরি করতে এবং তার মাধ্যমে ছবি তুলতে। মিটনের চক্রান্ত ওলডামে রহস্যময়ভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং একই সময়ে প্রথম স্থিতিগত ব্যক্তি বয়নের মাধ্যমে দৃশ্যগুলি দেখতে পারতেন।
  • ড্যাগুয়ের্টাইপ (১৯শ শতাব্দীর প্রথম দশক): ১৮৩৯ সালে, ফ্রান্সীয় মহিলা এলসি ড্যাগু একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাস করেন, যা হলো ড্যাগুয়ের্টাইপ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি ছবির উপর একটি স্লাইড তৈরি করা হতো এবং এটি প্রদর্শন করতে হলো একটি পোসটিভ ছবি তৈরি করে।
  • কলোডিয়ান প্রক্রিয়া (১৯শ শতাব্দীর প্রথম দশক): ড্যাগুয়ের্টাইপের পর পর্বতীতে, ওগুস্টিন ফ্রেডারিক লুকাস কলোডি নামক একজন ফরাসি চিত্রশিল্পী কলোডিয়ান প্রক্রিয়া উদ্ভাস করেন। এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে মৌসুমি ছবিতে আরও ভালো ফটোগ্রাফি তৈরি করা হতো।
  • টিন্টাইপ প্রক্রিয়া (১৮৫০ সাল): এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছবিগুলি সজীব রঙিন হতো, এবং তার মাধ্যমে আবেগভাবে বিচ্যুতি হতো।
  • আম্ব্রোটাইপ এবং ফেরোটাইপ (১৮৫০ সাল): এই সময়ে নাইট্রেট গ্লাস প্লেট ব্যবহার করে আম্ব্রোটাইপ এবং ফেরোটাইপ বা পসটাইপ নামক প্রক্রিয়া উদ্ভাস করা হয়।

এই রকমে, ফটোগ্রাফির ইতিহাস দ্বিধা এবং উন্নতির সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এক্ষেত্রে নতুন প্রক্রিয়া এবং সাধনা হয়েছে সব সময়। আধুনিক ফটোগ্রাফি এখন ডিজিটাল তথা ইলেক্ট্রনিক ফর্মে প্রচুর জনপ্রিয়।

ফটোগ্রাফার এর কাজ কি

ফটোগ্রাফারের কাজ বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করা এবং তা প্রকাশ করা যায়। এই কাজের মাধ্যমে ফটোগ্রাফার বিভিন্ন লেভেলে ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে। কিছু মৌখিক ক্যারিয়ারের উদাহরণ হলো:

  • পোর্টরেট ফটোগ্রাফি: এই ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফার মানুষের চেহারা এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করে ছবি তুলতে পারে। এটি প্রধানভাবে প্রোফেশনাল পোর্টরেট, বিবাহ, পরিবার ফটোগ্রাফির জন্য প্রযোজ্য।
  • ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি: ফটোগ্রাফার প্রাকৃতিক দৃশ্য, যেমন পাহাড়, সাগর, বন ইত্যাদি তুলতে পারে। এই ধারণা আধুনিক ফটোগ্রাফি ক্ষেত্রে খুব জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয়।
  • ইভেন্ট ফটোগ্রাফি: সম্মেলন, উৎসব, বিয়ে, মিটআপ, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার কাজ করতে পারে।
  • জার্নালিসটিক ফটোগ্রাফি: ফটোগ্রাফার খবরের অনুবাদে কাজ করতে পারে, যেমন দৈনিকপত্র, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট ইত্যাদির জন্য।
  • জানলেজ ফটোগ্রাফি: বিভিন্ন বিজ্ঞান, চিকিৎসা, পরিবেশ, ও অন্যান্য জানলেজ ফিল্ডে ফটোগ্রাফি ব্যবহার হয়।
  • পোর্টফোলিও তৈরি: কিছু ফটোগ্রাফার তাদের কাজের সুন্দর বা আকর্ষণীয় ছবির সংগ্রহ বা পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারে, যা তাদের ক্যারিয়ারের প্রদর্শন করে।

এই কাজগুলির মধ্যে, একজন ফটোগ্রাফার তার বিশেষ আগ্রহ এবং দক্ষতা অনুযায়ী একটি বা একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।

ফটোগ্রাফির গুরুত্ব

ফটোগ্রাফির গুরুত্ব অনেকগুলি, এবং এটি বিভিন্ন দিকে মৌলিত হয়ে আসতে পারে।

  • স্মৃতি সংরক্ষণ: ছবির মাধ্যমে কিছু ক্ষণের অমৃততা অধ্যাত্মা৷ ফটোগ্রাফি একটি হারানো সময়কে স্থায়ী করতে সাহায্য করতে পারে এবং মনোবল উন্নত করতে পারে।
  • প্রযোজ্যতা: ফটোগ্রাফি ব্যক্তিদের নিজেদের দৃষ্টিকোণ এবং ভাবনা প্রকাশ করতে এবং অন্যদের সাথে ভাষা বলতে সাহায্য করতে পারে।
  • ভিজুয়াল কমিউনিকেশন: বিশ্ববিদ্যালয়ি তথা অভিজ্ঞানতা ছাড়াও, ব্যক্তিগত বা পেশাদার সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত ভিজুয়াল কমিউনিকেশন পূর্বক আলোচনা করা সহায় করতে পারে।
  • ভাবনা ও অভিব্রত্তির উন্নতি: একজন ফটোগ্রাফার তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আলোকচিত্র তৈরির প্রক্রিয়া আলোচনা করতে এবং নতুন আবৃত্তির সাথে সাথে অভিব্রত্তির মাধ্যমে আত্মবিশেষণ করতে পারে।
  • ঐচ্ছিক সার্বজনিক প্রদর্শন: ফটোগ্রাফি একজন শিল্পীর কাজ এবং তার ছবিগুলি প্রদর্শন করা সার্বজনিকভাবে সম্ভব। এটি নিজেকে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করার একটি সুযোগ প্রদান করতে পারে।
  • সামাজিক চেতনা ও প্রবৃদ্ধি: ফটোগ্রাফি একটি ক্ষয়দাতা যোগাযোগ যা কিছু উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাবনা উত্তীর্ণ করতে সাহায্য করতে পারে, এবং এটি সামাজিক মূল্যের বিচার করে আলোচনা করতে পারে।

ফটোগ্রাফি একটি আবৃত্তির মাধ্যমে সম্পৃক্ত অনেকগুলি উদ্দেশ্য হাস্যকর হতে পারে, একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার হতে পারে, অথবা একটি শিল্পের রূপ ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

ফটোগ্রাফির প্রকারভেদ

ফটোগ্রাফি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, এবং প্রতিটি প্রকারের ফটোগ্রাফি আপনার আগ্রহ এবং পছন্দের উপর নির্ভর করতে পারে। কিছু মৌলিক ফটোগ্রাফির প্রকার হলো:

  • পোর্টরেট ফটোগ্রাফি: মানুষের চেহারা এবং মানসিক অবস্থা কে ক্যাচ করা এবং তোলা হয় এই ধরনের ফটোগ্রাফিতে। এটি আসলে একটি জনপ্রিয় এবং সামাজিক ছবির প্রকার।
  • ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি: প্রাকৃতিক দৃশ্য বা পৃথিবীর দৃশ্যের ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়ায় এই ধরনের ফটোগ্রাফি করা হয়। এটি পাহাড়, নদী, সাগর, বন ইত্যাদি উপাচার্যের মাধ্যমে অসাধারণ দৃশ্য ধরে তোলা হয়।
  • ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি: মাইক্রোস্কোপিক চোখে দৃষ্টিভঙ্গি করে এই ধরনের ফটোগ্রাফি হলো ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি। ছোট বা অতি ছোট বিষয়ের একক বিবরণ এবং বৈচিত্র্য কে প্রদান করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • স্পোর্টস ফটোগ্রাফি: খেলাধুলা এবং খেলা সার্বজনিকভাবে বা প্রফেশনাল স্পোর্টস ইভেন্টে হতে এই ধরনের ফটোগ্রাফি হয়।
  • ন্যাচার ফটোগ্রাফি: প্রাকৃতিক উদ্দীপনা, জীববিজ্ঞান, প্রাকৃতিক জীবন, পার্ক, বাগান ইত্যাদি সংজ্ঞানা করে এই ধরনের ফটোগ্রাফি।
  • ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফি: এই ফটোগ্রাফি ধরণে একটি ঘটনার বা অধিক তথ্যের দৃষ্টিকোণ এবং সাক্ষরিক সত্যকথন দেওয়া হয়।
  • ডিজাইন ফটোগ্রাফি: প্রোডাক্ট, ফ্যাশন, বিজ্ঞান, ওয়েব ডিজাইন, ইত্যাদি যে কোন কিছুর ডিজাইন সংরক্ষণে এবং প্রচুর সাহায্য করতে এই ফটোগ্রাফি ধরণটি ব্যবহার হয়।

এই ছবি ধরনের মধ্যে অনেকগুলি সাব-ক্যাটাগরি থাকতে পারে, এবং প্রতিটি ক্যাটাগরি একটি আলাদা স্কিল এবং বিশেষজ্ঞতা প্রয়োজন করতে পারে।

Tags: