ডিজিটাল Transmission এবং ট্রান্সমিশন মিডিয়া কি?

ডিজিটাল ট্রান্সমিশন

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডিজিটাল ট্রান্সমিশন (Digital Transmission) হল ডেটা এনালগ বা ডিজিটাল আকারে পরিবর্তন করার পদ্ধতি।এই ডিজিটাল ট্রান্সমিশন কম্পিউটারে ডিজিটাল আকারে তথ্য সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল ফর্ম ব্যবহার করে থাকে।সুতরাং আমরা বলতে পারি ডেটা ডিজিটাল আকারে রূপান্তর বা পরিবর্তন করা দরকার যাতে এই ডেটা একটি কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিজিটাল-থেকে-ডিজিটালে পরিবর্তন

ডিজিটাল-টু-ডিজিটাল এনকোডিং হল ডিজিটাল সিগন্যাল দ্বারা ডিজিটাল ইনফরমেশন উপস্থাপিত করা।যখন কম্পিউটার দ্বারা বাইনারি 1 এবং 0 কে উৎপন্ন বা তৈরি করে ভোল্টেজ পালসের একটি সিকোয়েন্স ট্রান্সলেটেড করা হয় যা একটি তারের মাধ্যমে প্রচার করা যেতে পারে এই প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল-টু-ডিজিটাল এনকোডিং বলা হয়।

ডিজিটাল-টু-ডিজিটাল এনকোডিং এর মধ্যে তিনটি ভাগ দেখতে পাই এবং সেগুলি হল:

  • ইউনিপোলার এনকোডিং
  • পোলার এনকোডিং
  • বাইপোলার এনকোডিং

ইউনিপোলার এনকোডিং

ডিজিটাল ট্রান্সমিশন সিস্টেম ওয়্যার বা ক্যাবলের মতো মাঝারি লিঙ্কের উপর ভোল্টেজ পালস পাঠায় বেশিরভাগ ধরণের এনকোডিংয়ে একটি ভোল্টেজ লেয়ার 0 রিপ্রেসেন্টস করে এবং অন্য ভোল্টেজ লেয়ার 1 রিপ্রেসেন্টস করে।প্রতিটি পোলারিটি নির্ধারণ করে যে এটি পসিটিভ নাকি নেগেটিভ।
এই ধরনের এনকোডিং ইউনিপোলার এনকোডিং নামে পরিচিত কারণ এটি শুধুমাত্র একটি পোলারিটি ব্যবহার করে থাকে।ইউনিপোলার এনকোডিং-এ, পোলারিটি 1 বাইনারি অবস্থায় এসাইন করা হয়।
এতে 1 একটি পসিটিভ মান হিসাবে এবং 0 একটি শূন্য মান হিসাবে উপস্থাপন বা রিপ্রেসেন্টেড করা হয়।

পোলার এনকোডিং

পোলার এনকোডিং হল একটি এনকোডিং স্কিম যা দুটি ভোল্টেজ লেয়ার ব্যবহার করে থাকে যেমন একটি পসিটিভ, এবং অন্যটি নেগেটিভ।দুটি ভোল্টেজ লেয়ার ব্যবহার করে একটি মাঝারি ভোল্টেজ লেয়ার রিউসড করা হয় এবং ইউনিপোলার এনকোডিং স্কিমের ডিসি কম্পোনেন্টের সমস্যাটি কম করা হয়।

বাইপোলার এনকোডিং

বাইপোলার এনকোডিং স্কিম তিনটি ভোল্টেজ লেয়ারকে রিপ্রেসেন্টস করে যেমন পজিটিভ, নেগেটিভ এবং জিরো।বাইপোলার এনকোডিং স্কিমে জিরো লেয়ার বাইনারি 0 রিপ্রেসেন্টস করে এবং বাইনারি 1 কে পজিটিভ এবং নেগেটিভ ভোল্টেজ দ্বারা রিপ্রেসেন্টস করা হয়।

ট্রান্সমিশন মিডিয়া

ট্রান্সমিশন মিডিয়া (Transmission media) হল একটি যোগাযোগের মাধ্যম যা সেন্ডার থেকে রিসীভারের কাছের থেকে তথ্য বহন করে এবং ট্রান্সমিশন মিডিয়া ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যালের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সমিটেড করা হয় ট্রান্সমিশন মিডিয়ার প্রধান কার্যকারিতা হল LAN (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে বিট আকারে তথ্য বহন করা।এটি ডেটা যোগাযোগে ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের মধ্যে একটি ফিজিক্যাল রাস্তা তৈরি করে জাতে তাদের যোগাযোগ করতে সুবিধা হয়।

এই ট্রান্সমিশন মিডিয়া তামা দিয়ে তৈরি একটি নেটওয়ার্ক এবং এর বিটগুলি বৈদ্যুতিক সংকেত আকারে চলাফেরা করে। এটি একটি ফাইবার বেসড নেটওয়ার্ক এবং এর বিট গুলি লাইট পালসের মতো হয়ে থাকে। OSI (ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন) ট্রান্সমিশন মিডিয়া লেয়ার 1 সাপোট করে তার জন্য এটি লেয়ার 1 কম্পোনেন্ট হিসাবে পরিচয় পায়।বৈদ্যুতিক সংকেতগুলি তামার তার ব্যাবহার করে ফাইবার অপটিক্স, বায়ুমণ্ডল, জল এবং ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে সিগনালস বা সংকেত পাঠানো যেতে পারে।ট্রান্সমিশন মিডিয়া ডেটা ট্রান্সমিশন কত ভালো করে করতে পারে এটি বোঝার জন্য এর বৈশিষ্ট্য এবং গুণমান পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ট্রান্সমিশন মিডিয়া দুই ধরনের হয় থাকে একটি তারযুক্ত মিডিয়া আরেকটি ওয়্যারলেস মিডিয়া।তারযুক্ত মিডিয়াতে মিডিয়াম বৈশিষ্ট্যগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এর থেকে ওয়্যারলেস মিডিয়াতে সিগন্যালের বৈশিষ্ট্যগুলি আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ট্রান্সমিশন মিডিয়ার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন ব্যান্ডউইথ,খরচ এবং ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি।ট্রান্সমিশন মিডিয়া OSI রেফারেন্স মডেলের সবার থেকে নিচের লেয়ারে পাওয়া যায় এবং এর একটি ভালো উদাহরণ হল ফিজিক্যাল লেয়ার।

ট্রান্সমিশন মিডিয়া ডিজাইন করার জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন:

ব্যান্ডউইথ: সমস্ত ফ্যাক্টর স্থির থাকে, একটি মাধ্যমের ব্যান্ডউইথ যত বেশি, একটি সিগন্যালের ডেটা ট্রান্সমিশন হার তত বেশি।

ট্রান্সমিশন ইম্পায়রমেন্ট: যখন প্রাপ্ত সংকেত ট্রান্সমিশন ইম্পায়রমেন্ট কারণে প্রেরিত সংকেতের সাথে অভিন্ন হয় না। ট্রান্সমিশন ইম্পায়রমেন্ট কারণে সিগন্যালের মান নষ্ট হয়ে যাবে।

ইন্টারফেরেন্স: ইন্টারফেরেন্স একটি সিগন্যাল ব্যাহত করার প্রক্রিয়া হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যখন এটি কিছু আনওয়ান্টেড সিগন্যাল যোগ করে একটি যোগাযোগ মাধ্যমের উপর দিয়ে ট্রাভেলস করে।

ট্রান্সমিশন ইম্পায়রমেন্টের কারণ

অ্যাটেন্যুয়েশন: অ্যাটেন্যুয়েশন মানে শক্তির ক্ষয়, অর্থাৎ, দূরত্ব বাড়ার সাথে সাথে সংকেতের শক্তি হ্রাস পায় যা শক্তির ক্ষয় ঘটায়।

ডিস্টর্শন: সংকেতের আকারে পরিবর্তন হলে ডিস্টর্শন ঘটে। এই ধরনের ডিস্টর্শন বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি সহ বিভিন্ন সংকেত থেকে পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানের নিজস্ব প্রচারের গতি থাকে, তাই তারা বিভিন্ন সময়ে পৌঁছায় যা বিলম্বের ডিস্টর্শন ঘটায়।

নয়েস: যখন একটি ট্রান্সমিশন মাধ্যমে ডেটা ট্রাভেল করা হয়, তখন এতে কিছু আনওয়ান্টেড সংকেত যুক্ত হয় যা গোলমাল সৃষ্টি করে।